ভারতে পাচার হওয়ার পর যৌন নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বেঙ্গালুরু পুলিশ শুক্রবার (২৮ মে) ওই তরুণীকে কেরালায় শনাক্ত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার ভারতের আসামভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমএইটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকজন মিলে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভারতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
টাইমএইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীকে উদ্ধারের পর বেঙ্গালুরুরের বিয়াপ্পানাহালি থানায় নেওয়া হয়। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। আদালতে হাজির করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার জবানবন্দিও নেয়া হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ইন্টারনেটে যৌন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ভিডিওতে প্রকাশ পাওয়া ৫ জনকে ধরিয়ে দিতে বৃহস্পতিবার পুরস্কার ঘোষণা করে আসাম রাজ্যের পুলিশ। ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাও হয় সেখানে। ওই দিনই বেঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তার হন অভিযুক্ত হৃদয় বাবু, মো. বাবু শেখ, সাগর ও দুই নারীসহ ছয় আসামি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শুক্রবার ভোররাতে আসামিদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে দুজন পালানোর চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ গুলি ছুড়লে দুজন আহত হন। তাদের একজন টিকটক হৃদয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত হৃদয় বাবুসহ অজ্ঞাত চার আসামির বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মানব পাচার নিয়ন্ত্রণ আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করে ভুক্তভোগীর বাবা। এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে নির্যাতিতার পরিবার।